সম্প্রতি

ZERO PROJECT এর পক্ষ হতে আইটি স্কুল নিয়ে আসছে ICC World cup Match কুইজ কন্টেস্ট। তৈরি থাকুন সবাই আর জিতে নিন মোবাইল রিচার্জ..........

শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৩

৫ম শ্রেনি, বাংলা, আমাদের লোকশিল্প (লেকচার-৩)

সবাই কে নতুন দিনের শুভেচ্ছা। নিশ্চয় সবাই ভাল আছ।  আজ আমি তোমাদের বাংলা বই এর আমাদের লোকশিল্প অধ্যায়ের কিছু সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন-উত্তর এবং সঠিক উত্তর দেখাবো। যা তোমাদের জন্য অনেক উপকারী। ভাল লাগলে সবাই কমেন্ট করবা। চেষ্টা করি কতটুকু তোমাদের সাহায্য করতে পারি..............


সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর

১. প্রশ্ন : খাদ্যশস্যের পরে বাংলাদেশের মানুষের জীবনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত কী ?
     উত্তর : কুটির শিল্প।
২. প্রশ্ন : ঢাকাই মসলিন কোন এলাকার তাঁতিদে অমূল্য সুষ্টি ছিল ?
     উত্তর : ডেমরা এলাকার তাঁতিদের।
৩. প্রশ্ন : একটি সাধারণ আকারের নকশিকাঁথা সেলাই করতে কতদিন সময় লাগত ?
     উত্তর : কমপক্ষে ছয় মাস।
৪. প্রশ্ন : কোন মৌসুম নকশিকাঁথা সেলাইয়ের জন্য উপযুক্ত সময় ?
     উত্তর : বর্ষাকাল।
৫. প্রশ্ন : বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ মতে, জামদানি বোনার জন্য আপরিহার্য বস্তু কোনটি ?
     উত্তর : শিতলক্ষ্যা নদীর পানির বষ্প থেকে সৃষ্ট আর্দ্রতা।
৬. প্রশ্ন : যারা তুলা থেকে হাতে সুতা কাটে তাদের কী বলা হয় ?
     উত্তর : কাটুনি।
৭. প্রশ্ন : স্বদেশি আন্দোলনের ফলে তৈরি হয়েছিল কোন কাপড় ?
     উত্তর : খাদি কাপড়।
৮. প্রশ্ন : ‘হাসিয়া’ কী ?
     উত্তর : গৃহনির্মাণের কাজে ব্যবহৃত কারুকার্যভূষিত কার্য।
৯. প্রশ্ন : হাতির দাঁতের শীতলপাটি কারা তৈরি করিয়েছিলেন ?
     উত্তর : ঢাকার নবাব পরিবার।
১০. প্রশ্ন : পুতুল, টোপর ইত্যাদির মধ্যে কোন শিল্পের সৃজনশীল নমুনা দেখা যায় ?
     উত্তর : সোলাশিল্পের।
১১. প্রশ্ন : আমাদের দেশের মেয়েদের সহজাত শিল্পগুণ কী ?
     উত্তর : কাপড়ের পুতুল তৈরি করা।
১২. প্রশ্ন : ‘টেকসই’ কথাটির অর্থ কী ?
     উত্তর : মজবুত ।
১৩. প্রশ্ন : ‘লুপ্তপ্রায়’ শব্দটির অর্থ কী ?
     উত্তর : যা লোপ পেতে বসেছে
১৪. প্রশ্ন : ‘জীবনগাথা’ শব্দটির অর্থ কী ?
     উত্তর : জীবনের কাহিনি।
১৫. প্রশ্ন : টোপর কী ?
     উত্তর : হিন্দু বরের মাথার মুকুট।
১৬. প্রশ্ন : ‘মণিপুরী’ কথাটির অর্থ কী ?
     উত্তর : মণিপুর-সম্পর্কিত।
১৭. প্রশ্ন : ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধটি কোন গ্রন্থ থেকে গৃহীত হয়েছে ?
     উত্তর : ‘আমাদের লোককৃষ্টি’ গ্রন্থ থেকে।
১৮. প্রশ্ন : কামরুল হাসান কত খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন ?
     উত্তর : ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে।
১৯. প্রশ্ন : কামরুল হাসান কোথায় জন্মগ্রহণ করেন ?
     উত্তর : কলকাতায়।
২০. প্রশ্ন : কামরুল হাসান সুদীর্ঘকাল কোথায় কর্মজীবন অতিবাহিত করেছিলেন ?
     উত্তর : ঢাকা চারু ও কারুকলা ইনস্টিটিউটে।
২১. প্রশ্ন : ‘বাংলাদেশের শিল্প আন্দোলন ও আমার ক্থা’ বইটির রচয়িতা কে ?
     উত্তর : কামরুল হাসান।
২২. প্রশ্ন : কামরুল হাসান কবে মারা যান ?
     উত্তর : ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দের ২রা ফেব্রুয়ারি।
২৩. প্রশ্ন : কামরুল হাসান কোথায় মারা যান ?
     উত্তর : ঢাকায়।



অনুধাবন প্রশ্ন ও উত্তর

১. প্রশ্ন : কুটিরশিল্প কীভাবে আমাদের জীবনের সাথে জড়িত ?
উত্তর : দৈনন্দিন জীবনের ব্যবহারে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে কুটিরশিল্প আমাদের জীবনের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত।ঘর-গৃহস্থালির নিত্যব্যবহারের সব পণ্যদ্রব্যই এদেশের গ্রামের কুটিরে এক সময়ে তৈরি হতো। বর্তমানেও আমদের দেশে খাদ্যশস্যের পরেই কুটিরশিল্পের অবস্থান। কুটিরশিল্প তাই আমেদর জীবনের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে।

২. প্রশ্ন : ঢাকার মসলিন তত্‌কালীন বাদশাহদের বিলাসের বস্তু ছিল কেন ?
উত্তর : মসলিন কাপড়ের সূক্ষ্ণতা এবং খ্যাতির জন্য ঢাকার মসলিন তত্‌কালীন বাদশাহদের বিলাসের বস্তু ছিল।ঢাকা শহরের ডেমরা এলাকার তাঁতিদের অমূল্য সৃষ্টি মসলিন কাপড়। কারিগরি দক্ষতা ছাড়াও ও কাপড়ের মধ্য দিয়ে শিল্পী মনেরও পরিচয় ফুটে ওঠে। তত্কালীন সময়ে এটি ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। তাই ঢাকার মসলিন মুঘল বাদশাহদের বিলাসের বস্তু ছিল।

৩. প্রশ্ন : নকশি কাঁথা কীভাবে তৈরি হয় ?
উত্তর : বর্ষাকালে অবসর সময়ে গ্রামের মেয়েরা সংসারের কাজ সাঙ্গ করে মনের চৌধুরী মিশিয়ে নকশিকাঁথা তৈরি করেন।একটি সাধারণ আকারের নকশিকাঁথা সেলাই করতে কমপক্ষে ছয় মাস সময় লাগে। বর্ষাকালে জলাবদ্ধতায় গ্রামের মেয়েদের হাতে কাজ না থাকায় পাটি বিছিয়ে নকশিকাঁথা সেলাই করতে বসেন। পাড়া পড়শিরাও এসে যোগ দেয় এতে। এভাবে আপন পরিবেশে কাঁথার ওপর সুচ-সুতোয় নকশা তুলে গ্রাম্য মেয়েরা নকশিকাঁথা তৈরি করেন।

৪. প্রশ্ন : নকশিকাঁথায় কীভাবে জীবনকথা রূপায়িত হয় ?
উত্তর : গ্রাম্য মেয়েদের অবসর সময়ের কারুকার্যের প্রতিফলন হলো নকশিকাঁথা। এ কাঁথায় লুকিয়ে থাকে তাদের হাসি-কান্নার গল্প।অবসর সময়ে গ্রামের মেয়েরা বিচিত্র নকশার নকশিকাঁথা তৈরি করেন। এ নকশিকাঁথাগুলো তাদের পরিবারের গল্প, হাসি, কান্না দিয়ে তৈরি হতো। কাঁথার প্রতিটি সুচের ফোঁড়ের মধ্য লুকিয়ে থাকে এক একটি পরিবারের কাহিনি, পরিবেশ এবং তাদের জীবনকথা।

৫. প্রশ্ন : খাদি কাপড় কীভাবে তৈরি হয় ?
উত্তর : তুলা থেকে হাতে সুতা কেটে খাদি কাপড় তৈরি হয়।খাদি কাপড়ের সম্পূর্ণটাই হাতে প্রস্তুত করা হয়। গ্রামবাসীরা অবসর সময়ে সুতা কাটে এবং সেই সুতা দিয়েই তারা খাদি কাপড় তৈরি করে। গ্রামের বাড়ির আশেপাশে লাগানো গাছের তুলা কাজে লাগিয়ে সুতা তৈরি করে হস্তচালিত তাঁতে এ কাপড় তৈরি হয়।

৬. প্রশ্ন : কাঁসা ও পিতলের বাসনপত্র কীভাবে তৈরি হয় ?
উত্তর : মাটির ছাঁচ তৈরি করে তাতে গলিত কাঁসা বা পিতল ঢেলে দিয়ে কাঁসা বা পিতলের বাসনপত্র তৈরি করা হয়।প্রথমে মাটির ছাঁচ তৈরি করে গলিত কাঁসা বা পিতল ঢেলে দিয়ে তাকে ঠান্ডা করা হয়। তারপর ওপর থেকে মাটির ছাঁচ ভেঙে ফেললেই তা থেকে গ্লাস, থালা, বাটি, বদনা পাওয়া যায়। এগুলোকে তারপর পালিশ করে ব্যবহারের উপযোগী করা হয়।

৭. প্রশ্ন : ‘হাসিয়া’ বলতে কী বোঝায় ?
উত্তর : কাঠের তৈরি খাট, পালঙ্ক, খুঁটি, দরজা ইত্যাদিতে যে কারুকার্য করা হয় সে কাজকে ‘হাসিয়া’ বলে।গৃহনির্মাণের কাজে কাঠের ব্যবহার বহুল প্রচলিত। ঘরের দরজা, খুঁটি, আসবাবপত্র, নৌকা প্রভৃতি জিনিসে কাঠের ব্যবহার দেখা যায়। এ সকল জিনিসে কারুকার্য করে তাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়। কাঠের জিনিসে এরূপ নকশা বা কারুকার্যের কাজকে ‘হাসিয়া’ বলে।

৮. প্রশ্ন : লোকশিল্প সৌন্দর্যপ্রিয়তার প্রকাশ ঘটে কিভাবে ?
উত্তর : গ্রামের ঘরে ঘরে শিকা, হাতপাখা, ফুলপিঠা প্রভৃতি জিনিস তৈরিতে লোকশিল্পের সৌন্দর্যপ্রিয়তার প্রকাশ ঘটে।গ্রামীণ সমাজে শিকা, হাতপাখা, ফুলপিঠা প্রভৃতি জিনিসের মধ্যে যে বিচিত্র নকশা, রং এবং কারিগরি সৌন্দর্যের নিদর্শন দেখা যায় তা মানুষের সৌন্দর্যপ্রিয়তারই প্রতিচ্ছবি। সাধারণ সামগ্রী হলেও সৌন্দর্যের দিক দিয়ে এদের স্থান অনেক উঁচুতে।

৯. প্রশ্ন : কাপড়ের পুতুলকে কেন ‘প্রতীকধর্মী’ বলা হয় ?
উত্তর : কাপড়ের পুতুলগুলো আমাদের দেমের ঐতিহ্য ও জীবনের প্রতিনিধিত্ব করে বলে এদের ‘প্রতীকধর্মী’ বলা হয়।আমাদের দেশের গ্রামীণ সমাজের ঐতিহ্য, পোশাক, পরিচ্ছদ এবং জীবনের প্রতিচ্ছবি হলো কাপড়ের পুতুল। এগুলো বিদেশে আমাদের দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। তাই কাপড়ের পুতুলকে ‘প্রতীকধর্মী’ বলা হয়।

১০. প্রশ্ন : গ্রামীণ কারিগরি দক্ষতার সাথে শিল্পীমনের সংযোগ ঘটিয়ে কোন শিল্প গড়ে উঠেছে ?
উত্তর : গ্রামীণ কারিগরি দক্ষতার সঙ্গে শিল্পীমনের সংযোগ ঘটিয়ে গড়ে উঠেছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী লোকশিল্প।আবহমান কাল ধরেই এদেশে লোকশিল্পের প্রচলন আছে। নিপুন কারুকাজ ও আকর্ষণীয় সৌন্দর্যের ও শিল্প দেশ-বিদেশের মানুষের হৃদয় কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছিল। মৃত্‌শিল্প, কাঠের কাজ, নকশিকাঁথা, কাসা-পিতলের শিল্পকর্ম, জামদানি, শীতলপাটি ইত্যাদি আমাদের অন্যতম লোকশিল্প। এগুলো তৈরিতে একদিকে যেমন রয়েছে গ্রামীণ কারিগরের কৌশলগত দক্ষতা, তেমনি রয়েছে তাদের শৈল্পিক মনের ছোঁয়া।

১১. প্রশ্ন : গ্রমীণ লোকশিল্পের বিলুপ্তির কারণ ব্যাখ্যা করো।
উত্তর : গ্রামীণ লোকশিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের অভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে।বাংলাদেশের লোকশিল্প দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারিগরি দক্ষতা ও শিল্পীমন এ শিল্পকে দীর্ঘদিন প্রণবন্ত করে রেখেছিল। এসব লোকশিল্পের মধ্যে তাঁতশিল্প, মৃত্‌শিল্প, নকশিকাঁথা, কাঠের কাজ, কাঁসা ও পিতলের তৈজসপত্র, পাট, বাঁশ ও বেতের কাজ উল্লেখযোগ্য। অথচ আজ এ শিল্প সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণের অভাবে বিলুপ্তপ্রায়।

১২. প্রশ্ন : বর্তমানে বড় বড় কাপড়ের কারখানাগুলো শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে উঠছে কেন ?
উত্তর : শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী আবহাওয়া কাপড় তৈরির জন্য বিশেষ উপযোগী বলেই বর্তমানে বড় বড় কাপড়ের কারখানাগুলো এ নদীর তীরে গড়ে উঠেছে।প্রাচীনকাল থেকেই এদেশের কাপড়শিল্পের একটা বড় অংশ শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে বিস্তার লাভ করেছে। কারণ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা গেছে যে, শীতলক্ষ্যা নদীর পানির বাষ্প থেকে যে আর্দ্রতার সৃষ্টি হয় তা কাপড় তৈরির জন্য বিশেষ উপযোগী। আর এজন্যেই বর্তমানে বড় বড় অনেক কাপড়ের কারখানা এ নদীর তীরে গড়ে উঠেছে



আজ এ পর্যন্তই । আগামি দিন আবার নতুন কোন অধ্যায় নিয়ে হাজির হব তোমাদের সামনে। আমার জন্য দোয়া করো। আমিন...........
আগের পোষ্ট দেখে নাওআমার ইস্‌কুল আঙিনা। আমার Facebook

1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 Live MeccaLive Blogger Tricks