সম্প্রতি

ZERO PROJECT এর পক্ষ হতে আইটি স্কুল নিয়ে আসছে ICC World cup Match কুইজ কন্টেস্ট। তৈরি থাকুন সবাই আর জিতে নিন মোবাইল রিচার্জ..........

মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০১৩

৫ম শ্রেনি, বাংলা, আমাদের লোকশিল্প (লেকচার-২)

আস্‌সালামুআলাইকুম............. আজ তোমাদের সামনে  আমাদের লোকশিল্প অধ্যায়ের ২য় লেকচার টি তুলে ধরবো। যা তোমাদের পরিক্ষা সহযোগিতা করবে ইন্‌সাল্লাহ........................
পুর্বের পোষ্ট গুলো এখানে

আমাদের লোকশিল্প 
লেকচার – ২ 

প্রশ্ন ও উত্তর :

১. প্রশ্ন : আরিফ তার এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান উপহার হিসেবে নিয়ে যায় একটি পিতলের কলস। কিন্তু অধিকাংশ অতিথি নিয়ে এসেছেন নানা ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী। আরিফের উপহারটি দেখে অনেকেই মুখ টিপে হাসে। কিন্তু আরিফ পাত্তা দেয় নি। বরং দুর্লভ-প্রায় এই লোকশিল্পটি উপহার দিতে পেরে সে গর্বিত। কেননা সে জানে এর মধ্যেই রয়েছে আমাদের লোক-ঐতিহ্যের যথার্থ পরিচয়। 

ক) ঢাকার কোন জিনিসটি মোঘল বাদশাহদের বিলাসের বস্তু ছিল ? 
খ) বর্তমানে বড় বড় কাপড়ের কারখানাগুলো শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে গড়ে উঠছে কেন ? 
গ) উদ্দীপকটি ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধের কোন দিকটির পরিচয় বহন করে ? ব্যাখ্যা কর। 
ঘ) আরিফের এ মানসিকতা আমাদের লোক ঐতিহ্য সংরক্ষণে কতটুকু ভূমিকা পালন করে ? ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধের আলোকে বিশ্লেষণ করো। 

১ নং প্রশ্নের উত্তর :

ক) উত্তর : মসলিন কাপড়। 

খ) উত্তর : শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী আবহাওয়া কাপড় তৈরির জন্য বিশেষ উপযোগী বলেই বর্তমানে বড় বড় আপড়ের কারখানাগুলো এ নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। 

প্রাচীনকাল থেকেই এদেশের কাপড়শিল্পের একটা বড় অংশ শীতলক্ষ্যা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে বিস্তার লাভ করেছে। কারণ বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা গেছে যে, শীতলক্ষ্যা নদীর পানির বাষ্প থেকে যে আর্দ্রতার সৃষ্টি হয় তা কাপড় তৈরির জন্য বিশেষ উপযোগী। আর এজন্যই বর্তমানে বড় বড় অনেক কাপড়ের কল এ নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। 

গ) উত্তর : উদ্দীপকটি ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধের দুর্লভ লোকশিল্পের ঐতিহ্যকে আমাদের সামনে তুলে ধরেছে। 

বাংলাদেশের লোকশিল্প সমৃদ্ধ সেই সুপ্রাচীন কাল থেকে। এদেশের মানুষ প্রয়োজন ও শখের বশে নানা হস্তজাত পণ্য তৈরি করে আসছে, যার অন্যতম হচ্ছে কাঁসা ও পিতলের তৈরি তৈজসপত্রসমূহ। বর্তমানে এসব জিনিসের ব্যবহার ধীরে ধীরে কমে আসছে। উদ্দীপকটি এ বিষয়টিই তুলে ধরেছে। 

কাঁসা ও পিতলের জিনিসের মূল্যায়ন ও জনপ্রিয়তা দিন দিন কমে আসছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষ এখন মেলামাইন বা প্লাস্টিকের জিনিস ব্যবহার করছে। কিন্তু উদ্দীপকে আরিফ বিয়ের উপহার হিসেবে পিতলের কলস এনে আমাদের লোকশিল্পের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করেছে। একই সঙ্গে তার এ উদ্যোগ আমাদের বিলুপ্ত-প্রায় লোকশিল্পকে আমাদের সামনে তাত্পর্যপূর্ণভাবে উপস্থাপন করেছে। 

ঘ) উত্তর : উদ্দীপকের আরিফের মানসিকতা আমাদের লোক-ঐতিহ্য সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। 

‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধে প্রাবন্ধিক লোকশিল্পের নানা দিকের পরিচয় তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি এই লোকশিল্পের সংরক্ষণ এ প্রসারের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছেন, যা উদ্দীপকের আরিফের মানসিকতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। 

লোকশিল্প আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্য এ প্রাণের সম্পদ। লোকশিল্পের বর্তমান অবস্থা বেশ নাজুক ও সময়ের পরিবর্তনে এটি লুপ্তপ্রায়। যেমন পিতলের তৈজসপত্র এখন গৃহস্থালি কাজে তেমন একটা ব্যবহৃত হয় না। কিন্তু বিশ্বের দরবারে আমাদের ঐতিহ্যের পরিচিতি হতে পারে এসব লোকশিল্প। 

লোক ঐতিহ্যকে রক্ষা এবং প্রসারে আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করা প্রয়োজন। উদ্দীপকের আরিফ সকলের উপহাসকে উপেক্ষা করেও পিতলের কলস উপহার দিয়ে লোকশিল্পের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করেছে। লোক ঐতিহ্য সংরক্ষণে এমন উদ্যোগের কথাই বলা হয়েছে ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধে। তার এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে আমাদের লোকশিল্প সংরক্ষণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। 

২. প্রশ্ন : সোহানের দাদু ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের কর্মী ছিলেন। এ আন্দোলনের বড় একটি দিক ছিল বিদেশি পণ্য বর্জন, দেশি পণ্য গ্রহণ। সোহানের দাদা ও তার সহযোদ্ধারা নিজেদের কাপড় নিজেরাই বুনতেন। 

ক) ঢাকা মসলিন কাদের বিলাসের বস্তু ছিল ? 
খ) জামদানী শাড়ির বৈশিষ্ট্য কি ? 
গ) তানিমের দাদার বৃটিশ বিরোধী আন্দোলনকে কি নামে অভিহিত করা হতো ? ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধ অবলম্বনে তা ব্যাখ্যা করো। 
ঘ) ‘নিজেদের কাপড় নিজেরাই বুনত’ – উক্তিটি ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধের কোন দিকটিকে ইঙ্গিত করে তা বিশ্লেষণ করো। 

২ নং প্রশ্নের উত্তর :

ক) উত্তর : মোঘল বাদশাহদের বিলাসের বস্তু ছিল। 

খ) উত্তর : জামদানি শাড়ির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, নদীর তীরবর্তী এলাকায় এ শাড়ি তৈরি করা হয়। 

বাংলাদেশের তাঁত শিল্পের বিস্তারে শীতলক্ষ্যা নদীর ভূমিকা অনন্য। বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, শীতলক্ষ্যার পানি বাষ্প হয়ে যে আর্দ্রতার সৃষ্টি করে, তা জামদানি বোনার জন্য খুবই উপযোগী। এ কারণে শুধু জামদানি নয়, রবং বড় বড় কাপড়ের কারখানাও শীতলক্ষ্যার তীরে গড়ে উঠেছে। জামদানি শাড়ি তৈরিতে সবচেয়ে জরুরি উপযুক্ত আবহাওয়া। 


গ) উত্তর : উদ্দীপকে সোহানের দাদুর ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনকে ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধে কামরুল হাসান স্বদেশি আন্দোলন বলে উল্লেখ করেছেন। 

উদ্দীপকের সোহানের দাদু ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের একজন কর্মী ছিলেন। এ উল্লেখযোগ্য আন্দোলনের দিকটি ছিল বিদশি পণ্য বর্জন, দেশি পণ্য গ্রহন। ফলে আন্দোলনকারীরা নিজেরাই নিজেদের কাপড় বুনতেন। 

ব্রিটিশ সরকারের নিকট ভারতবাসীদের মৌলিক অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১৯১৭ সালে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে স্বদেশী আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। এ সময় বিলেতি পণ্য ব্যবহার পরিত্যাগ করে দেশি পণ্য ব্যবহার করার কথা বলা হয়। ফলে তুলা থেকে হাতে সুতা কেটে হস্তচালিত তাঁতে এসব সুতায় কাপড় তৈরি করা হত। সে সময় বিলেতি কাপড়ের পরিবর্তে এসব দেশি কাপড় পরিধাণ করা হতো। প্রবন্ধ ও উদ্দীপকে বর্ণিত এ কাপড় খাদি বা খদ্দর নামে পরিচিত। স্বদেশের কাপড় পরিধান করে আন্দোলন করায় একে স্বদেশী আন্দোলন বলা হয়েছে। 

ঘ) উত্তর : ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধে ও উদ্দীপকে খাদি কাপড় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময় আন্দোলনকারীরা নিজেদের কাপড় নিজেরাই তৈরি করত। 

উদ্দীপকের সোহানের দাদু ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের কর্মী ছিলেন। এ আন্দোলনের মূখ্য বিষয় ছিল ইংরেজদের উত্পাদিত পণ্য বর্জন করা। ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধে লেখক এ আন্দোলনকে স্বদেশি আন্দোলন বলে উল্লেখ করেছেন। 

উদ্দীপকের দাদুর কথিত খাদি কাপড়ের প্রসঙ্গ ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধেও উল্লেখ করা হয়েছে। অনিকের দাদুর বক্তব্য অনুযায়ী স্বদেশি আন্দোলনের সময়ে বিদেশি কাপড় বর্জন করে দেশি কাপড় গ্রহন করা হয়। 

ইংরেজদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভারতবর্ষের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে ১৯১৭ সালে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে স্বদেশি আন্দোলনের সূত্রপাত হয়। এ আন্দোলনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- স্বদেশের উত্পাদিত পণ্য ব্যবহার এবং বিদেশি বিশেষ করে ইংরেজদের উত্পাদিত পণ্য বর্জন। এসময় তুলা থেকে সুতা তৈরি করে হস্তচালিত তাঁতে এসব সুতায় কাপড় প্রস্তুত করা হতো, যা খাদি বা খদ্দর নামে পরিচিত। যেহেতু তারা বিদেশি পণ্য বর্জন করেছিলেন, সেহেতু তাদের নিজেদের কাপড় নিজকেই বুনতে হতো। 

৩. প্রশ্ন : বাংলাদেশের একটি প্রাচীনতম লোকশিল্প মৃৎশিল্প। গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী মৃ‍ৎশিল্পের নিদর্শন। তা ছাড়া রয়েছে কাঠের বিভিন্ন রকমের অলংকার যেমন- চুড়ি, মালা, দুল ইত্যাদি। এগুলো সবই লোকশিল্পের অতুলনীয় নিদর্শন। 

ক) খাদি কাপড়ের বিশেষত্ব কী ? 
খ) গ্রামীণ লোকশিল্পের বিলুপ্তির কারণ ব্যাখ্যা করো। 
গ) উদ্দীপকে গৃহস্থালির কাজে ব্যবহারের দিকটি ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধের আলোকে ব্যাখ্যা করো। 
ঘ) উদ্দীপকটি ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধেরই মূলভাব উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ করো। 

৩ নং প্রশ্নের উত্তর :

ক) উত্তর : এর সবটাই হাতে প্রস্তুত। 

খ) উত্তর : গ্রামীণ লোকশিল্প সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণের অভাবে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। 

বাংলাদেশের লোকশিল্প দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারিগরি দক্ষতা ও শিল্পীমন এ শিল্পকে দীর্ঘদিন প্রাণবন্ত করে রেখেছিল। অথচ আজ এ শিল্প সংরক্ষণ এবং সম্প্রসারণের অভাবে বিলুপ্তপ্রায়। 

গ) উত্তর : কামরুল হাসান রচিত ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধ ও উদ্দীপক থেকে আমরা জানতে পারি, মৃত্‌শিল্প বাংলাদেশের লোকশিল্পের অন্যতম নির্দশন। 

লোকশিল্পের বিকাশে মৃত্‌শিল্প ভূমিকা অনন্য। মাটির তৈরি জিনিসপত্রকে মৃত্‌শিল্প বলে। মৃত্‌শিল্পের সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় গৃহস্থালির কাজে, যেমন- তৈজসপত্র, হাঁড়ি, পাতিল, সানকি, পিঠা তৈরির ছাঁচ ইত্যাদি। 

মৃত্‌শিল্প ছাড়াও কাঁসা ও পিতলের বাসনপত্র এককালে প্রচলিত ছিল। আজও বাংলাদেশেরগ্রামাঞ্চলে কাঁসা বা পিতলের গৃহস্থালিতে ব্যবহার লক্ষণীয়। বর্তমানসময়ে আধুনিক গৃহসজ্জার সামগ্রী হিসেবে তামা-পিতলের ঘড়ি, থালা-বাটি, ফুলদানি প্রভৃতি ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া পোড়ামাটির তৈরি জিনিসপত্র বর্তমান আধুনিক ও রুচিশীল সমাজে ব্যবহৃত হয়। গ্রামের মানুষদের তৈরি এসব জিনিসপত্র যেমন আমাদের দৈনন্দিন চাহিদা মেটায়, এগুলো তেমনই লোকসংস্কৃতির অন্যতম ধারকও বটে। 

ঘ) উত্তর : উদ্দীপকে বাংলাদেশের ঐতিহ্যকে তুলে ধরা হয়েছে। যা উদ্দীপক ও ‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধেরই মূলভাবের প্রতিনিধিত্ব করে। 

‘আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধে বাংলাদেশের লোকশিল্পের ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়েছে। উদ্দীপকে বিভিন্ন লোকশিল্পের কথা বলা হয়েছে। এগুলো যেমন আমাদের প্রয়োজন মেটায়, তেমনি এগুলোর ব্যবহার আধুনিক রুচিরও বহিঃপ্রকাশ ঘটে। 

উদ্দীপকে মৃত্‌শিল্প ও কাঁসা পিতলের তৈরি নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, যেমন- রান্নার হাঁড়ি-পাতিল, সানকি, ফুলের টব, বাক্স ইত্যাদির ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে।‘ আমাদের লোকশিল্প’ প্রবন্ধে লোকশিল্পের নানামুখী ব্যবহার, যেমন- মৃত্‌শিল্প, নকশিকাঁথা, শীতলপাটি, বাঁশ ও কাঠের কারুকার্য, মসলিন ও খদ্দরের নানামুখী ব্যবহারের উল্লেখ করা হয়েছে। 

আমাদের নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্র অনেকাংশে কুটির শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। ঢাকাই মসলিন, জামদানি ও খদ্দর আমাদের গর্বের বস্তু। নকশিকাঁথা গ্রামীণ লোকশিল্প হলেও তা সব সময় সমাদৃত হয়ে এসেছে। কুমার পাড়ার মাটির তৈরি জিনিসপত্র আধুনিক সমাজেও প্রচলিত। পিতলের তৈরি বাটি ঘটিও বর্তমানকালে সমাদৃত। বাঁশের ও কাঠের তৈরি আসবাবপত্র চিরকালে ধরে আমাদের সাজসজ্জার কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তাই উদ্দীপকে যে লোকশিল্পের নানামুখী ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে, তা বাংলাদেশের সমগ্র লোকশিল্পেরই প্রতিনিধিত্ব করেছে। পুর্বের পোষ্ট গুলো এখানে

*** আজ এ পর্যন্তই .... আগামিতে আবার নতুন পোষ্ট নিয়ে দেখা হবে। আমার স্কুল দেখুন এখানে।
আমি এখানে...  আল্লাহ্‌ হাফেজ..............
1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 Live MeccaLive Blogger Tricks