সকল পোষ্ট গুলো এখানে
দ্বিতীয় অধ্যায় -সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ
১. প্রশ্ন : সম্পদ কাকে বলে ?
উত্তর : আমরা আমাদের জীবনযাপন ও জীবিকা নির্বাহের জন্যে নানারকম জিনিসপত্র ব্যবহার করে থাকি এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলি। সাধারণভাবে এসব জিনিসপত্র ও প্রতিষ্ঠানকে সম্পদ বলে। যেমন- বাড়িঘর, জমিজমা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি।
২. প্রশ্ন : পারিবারিক সম্পদ কী কী ?
উত্তর : পারিবারিক সম্পদ : কিছু কিছু সম্পদ আছে যেগুলোর মালিক ব্যক্তি বা পরিবার। একজন ব্যক্তির সম্পদ তার বাড়ি, গাড়ি, জমিজমা, পুকুর, বাগান, কারখানা, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি। এসব সম্পদ সে নিজের চেষ্টায় তৈরি করেছে, কিনেছে বা উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছে। এসব সম্পদের ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ ও হস্তান্তর করার অধিকার ঐ ব্যক্তির রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সম্পদের ব্যবহার, রক্ষণাবেক্ষণ ও হস্তান্তর করার ক্ষমতার অধিকারীকেই আইনগতভাবে সম্পদের মালিক বলে। ব্যক্তির সম্পদই পারিবারিক সম্পদ।
৩. প্রশ্ন : রাষ্ট্রীয় সম্পদকে কেন জনসম্পদ বলা হয় ?
উত্তর : রাষ্ট্রীয় সম্পদকে জনসম্পদ বলার কারণ : রাষ্ট্র হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় কল্যাণকর সংগঠন। রাষ্ট্র জনগণের ব্যবহার ও কল্যাণের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান, সুযোগ-সুবিধা গড়ে তোলে রাস্তাঘাট, সেতু, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এ ছাড়াও একটি দেশের বিভিন্ন খনিজ সম্পদ ইত্যাদিও রাষ্ট্রীয় সম্পদের অন্তর্গত। এসব রাষ্ট্রীয় সম্পদ ব্যবহার করার অধিকার রাষ্ট্রের সকল জনগণের রয়েছে। এজন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদকে জনসম্পদ বলা হয়।
৪. প্রশ্ন : বিদ্যালয়কে কেন জাতি গঠনের কারখানা বলা হয় ?
উত্তর : বিদ্যালয়কে জাতি গঠনের কারখানা বলার কারণ : বিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমাদের সামাজিক সম্পদ। বিদ্যালয় আমাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। বিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করে আমরা জীবনে প্রতিষ্ঠিত হই। যেমন- ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, সাংবদিক, সাহিত্যিক, কবি, গীতিকার ইত্যাদি রূপে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হয়ে থাকি। এজন্য বিদ্যালয়কে জাতি গঠনের কারখানা বলা হয়।
৫. প্রশ্ন : যমুনা সেতু নির্মাণের পর আমাদের কী কী উপকার হয়েছে ?
উত্তর : যমুনা সেতু নির্মাণের ফলে উপকারিতা : যমুনা সেতু যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছে। যমুনা সেতু নির্মাণের পর আমাদের যেসব উপকার হয়েছে সেগুলো নিম্নরূপ –
ক) দেশের পূর্ব অঞ্চলের সাথে পশ্চিম অঞ্চলের মধ্যে যোগাযোগের সুব্যবস্থা হয়েছে।
খ) অল্প সময়ে যাতায়াত সম্ভব হচ্ছে।
গ) ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি হয়েছে।
ঘ) দেশের বিভিন্ন স্থানের সাথে যোগাযোগ রক্ষা হয় বলে অর্থনৈতিক উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
ঙ) শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নতি হচ্ছে।
পরিশেষে বলা যায় একটি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন অবকাঠামোগত উন্নয়ন। যমুনা সেতু নির্মাণের ফলে সেই উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
৬. প্রশ্ন : আমরা আমাদের পরিবেশকে কীভাবে রক্ষা করব ?
উত্তর : পরিবেশকে রক্ষা করার উপায় : আমাদের আশপাশে যা কিছু আছে তা নিয়েই আমাদের পরিবেশ।আমরা আমাদের পরিবেশকে নিম্নোক্ত উপায়ে রক্ষা করব –
ক) পরিবেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখব।
খ) ঝোপঝাড়, পুকুরের কচুরিপানা ও ড্রেন পরিস্কার রাখব।
গ) খাল খননের ব্যবস্থা করে পানি নিষ্কাশন ও সংরক্ষণের সুব্যবস্থা করব।
ঘ) রাস্তাঘাট নির্মাণ, সংস্কার ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করব।
ঙ) পুল, সাঁকো, সেতু, কালভার্ট নির্মাণ, সংস্কার ও সংরক্ষণের ব্যবস্থা করব।
চ) খোলা জায়গায়, পার্কের যেখানে সেখানে কাগজপত্র, বোতল, ময়লা ইত্যাদি ফেলব না।
ছ) বাড়িঘর ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে ফেলব।
জ) ময়লা যাতে নিয়মিত ডাস্টবিন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেদিকে খেয়াল রাখব।
ঝ) গ্রামাঞ্চলে বৃক্ষরোপণ ও তার পরিচর্যা এবং সামাজিক বনায়নে সহায়তা করব।
৭. প্রশ্ন : আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহারের একটি উদাহরণ দাও।
উত্তর : আমাদের দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ অপব্যবহারের একটি উদাহরণ :
ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পদের বাইরে একটি দেশের যাবতীয় সম্পদই রাষ্ট্রীয় সম্পদ। আমাদের দেশে বিভিন্ন রকম রাষ্ট্রীয় সম্পদ রয়েছে। যেমন- রাস্তাঘাট, সেতু, বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান, প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি। এসবের মধ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস একটি অতি মূল্যবান রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
প্রায়ই গ্যাসের অপচয় হতে দেখা যায়। অনেক বাড়িতে রান্না শেষ হওয়ার পরও গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখা হয় একটি দিয়াশলাইয়ের কাঠি বাঁচানোর জন্য। এছাড়া নানা কারণে গ্যাসের চুলা জ্বালিয়ে রাখা হয় যা নিঃসন্দেহে অপচয়। এ অপচয়ের ফলে আমাদের গ্যাসের মজুদ দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে। পরিশেষে বলা যায়, রাষ্ট্রীয় বা সামাজিক সম্পদ ব্যবহার করার অধিকার যেমন সবার আছে, তেমনি এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নের দায়িত্ব সমাজের বা রাষ্ট্রের সবার।
***আমার ইস্কুল দেখুন। আজ তাহলে এ পর্যন্তি থাক। আবার আগামি দিন অন্যকোন বিষয় নিয়ে দেখা হবে তোমাদের সাথে। সেই পর্যন্ত বিদায় । ভাল থাকবে সবাই। আমাকে এখানে পাবেন। আল্লাহ হাফেজ.......