সম্প্রতি

ZERO PROJECT এর পক্ষ হতে আইটি স্কুল নিয়ে আসছে ICC World cup Match কুইজ কন্টেস্ট। তৈরি থাকুন সবাই আর জিতে নিন মোবাইল রিচার্জ..........

শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৩

৫ম শ্রনি, বাংলা, ২য় অধ্যায়- আয়াঢ়(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

হ্যালো ছোট্ট বন্ধুরা কেমন আছো? নিশ্চয় ভাল আছো। তোমাদের পরাশুনা কেমন হচ্ছে? ভাল করে পরাশোনা কর। সামনে তোমাদের psc পরিক্ষা । প্রিপারেশন ভাল করে নাও। আজ আমি তোমাদের বাংলা বই এর ২য় অধ্যায়ের প্রশ্ন নিয়ে উত্তর করবো। নিশ্চই তোমাদের ভাল লাগবে। এবং উপকৃত হবে। ভাল লাগলে আমাকে কমেন্ট করে যানাবে.....


২য় অধ্যায় : আষাঢ় (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

১. প্রশ্নঃ আষাঢ় মাসে আকাশ কেমন দেখা যায় ? 

উত্তরঃ ভুমিকা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আষাঢ়’ কবিতায় বর্ষায় বাংলা প্রকৃতির রূপ অত্যন্ত সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে । 

আমাদের আকাশ : ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ । এর দ্বিতীয় ঋতু হল বর্ষা । সে যেন সবাইকে জানান দিয়ে আসে । এ সময় নীল আকাশ আর নীল থাকে না । নতুন মেঘে সারা আকাশ ঢেকে যায় । তিল ধারণ করার মতো এতটুকু জায়গা কোথাও থাকে না । এ রূপ পরিবেশের মেঘাচ্ছন্ন আকাশ তার চিরাচরিত রূপ হারিয়ে নতুন সাজে হাজির হয় ।


উপসংহার : আষাঢ়ের ঘন কালো মেঘ থেকে বৃষ্টির সৃষ্টি হয় । আষাঢ়ের অঝোর বৃষ্টি প্রকৃতির বুকে প্রাণ সঞ্চার করে । 

২. প্রশ্নঃ আউশের ক্ষেত কীভাবে জলে ভরে যায় ? 

উত্তর : ভূমিকা : ‘আষাঢ়’ শীর্ষক কবিতায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আষাঢ়ের বর্ষার কৃষকের আউশ ধানের ক্ষেত কীভাবে জলে ভরে যায় তা আমাদের সামনে সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেন । 

আউশের ক্ষেত যেভাবে জলে ভরে যায় : আমাদের এ দেশ ঋতুবৈচিত্রের দেশ । আষাঢ় মাসে বর্ষা আগমন ঘটে । এ সময় আকাশ ঘন কলো মেঘে ছেয়ে যায় । টাপুর টুপুর শব্দে সারাদিন অবিরাম বৃষ্টি ধারা চলে । চারিদিকে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে । বৃষ্টির দিনে আকাশে চলে আলো-ছায়ার খেলা । এ সময় বন, মাঠ-ঘাট, কৃষকের আউশের ক্ষেত বৃষ্টির পানিতে ভরে যায় । 

উপসংহার : আষাঢ়ের বৃষ্টি ধারা তপ্ত, বিষণ্ন প্রকৃতিকে সজল স্নিগ্ধ করে পথ-ঘাট প্লাবিত করে । ফসলের মাঠ জলে ভরে ওঠে । 

৩. প্রশ্ন : কৃষক কী জন্য এত উদ্বিগ্ন ? 

উত্তর : ভূমিকা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আষাঢ়’ কবিতায় বর্ষায় বাংলা প্রকৃতির বিচিত্র রূপ ফুটে ওঠে । বিশেষ করে স্বাভাবিক জীবন যাত্রার মাঝে বর্ষার প্রভাব এখানে ভিন্ন রূপে ধরা দেয় । 

কৃষক উদ্বিগ্ন হবার কারণ : বর্ষার আকাশ ঘন মেঘে ঢেকে যায় । কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই থাকে না । সারাদিন আবিরাম জলধারায় চারিধার অথৈ জলে ভরে যায় । তখন নদী-নালা, খাল-বিল, লোকালয় সব একাকার হয়ে যায় । কালো মেঘে আকাশ ঢাকা আসন্ন ইংগিত বহন করে । এমন সময় ঘরের বাহিরে থাকা মোটেই নিরাপদ নয় । তাই মাঠ থেকে গাভীটিকে গোহালে আনা ও যারা ঘরের বাহিরে রয়েছে তাদের ঘরে ফিরে আসার বিষয়টি নিয়ে পরিবারের প্রধান বা দায়িত্বশীল কৃষক উদ্বিগ্ন থাকে ।


৪. প্রশ্ন : গাভীটি এত ঘন ঘন ডাকছে কেন ? 

উত্তর : ভুমিকা : বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘আষাঢ়’ শীর্ষক কবিতায় এ দেশের গ্রামবাংলার বর্ষা-প্রকৃতির বিভিন্ন দিক নিয়ে বর্ণনা করেছেন । তিনি এ কবিতায় একটি গাভীর কথাও উল্লেখ করেছেন । 

গাভীটি এত ঘন ঘন ডাকার কারণ : আষাঢ় মাস বর্ষার মাস । এ আকাশা কালো মেঘে ঢেকে যায় । সারাদিন অবিরাম বৃষ্টি ঝরে । এ সময় বাইরে যাওয়ার কোনো উপায় থাকে না । কৃষক তার গাভীটিকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য মাঠে দিয়ে এসেছিল । প্রতিদিন সন্ধ্যার আগে সে তার গাভীটিকে খুঁজে বাড়ি নিয়ে আসে । একদিন সন্ধ্যায় চারদিক অন্ধকার হয়ে বৃষ্টি নেমেছিল বলে কৃষক আসার জন্য এত ঘন ঘন ডাকছে । 

উপসংহার : প্রত্যেকটি প্রাণীই সন্ধ্যা হলে যার যার নীড়ে ফিরে যেতে চায় । কৃষকের গাভীটিও সন্ধ্যায় বাড়ি আসার জন্য এত ঘন ঘন ডাকছিল । 

৫. প্রশ্ন : রাখাল বালকের জন্য এত চিন্তা কেন ? 

উত্তর : ভূমিকা : বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘আষাঢ়’ নামক কবিতায় গ্রাম বাংলার এক রাখাল বালকের কথা ব্যক্ত করেছেন । 

রাখাল বালকের জন্য চিন্তার কারণ : আষাঢ় মাসে আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে থাকে । রাখাল ছেলে মাঠে গেছে তার গাভীটিকে আনতে । বেলা পোহালে আঁধার নেমে আসবে, সেই সাথে বৃষ্টি হবার সম্ভাবনা । রাখাল বালক ফিরছে না দেখে রাখাল বালকের জন্য এত চিন্তা । 

উপসংহার : গ্রাম বাংলার মানুষ সহজ-সরল ও সহানুভূতিপ্রবণ । তারা একে অপরের প্রতি হৃদয়ের টান অনুভব করে । তাইতো কৃষকের সহজ-সরল মন রাখাল বালকের জন্য এত চিন্তিত । 

৬. প্রশ্ন : খেয়া পারাপার বন্ধ হওয়ার কারণ কী ? 

উত্তর : ভূমিকা : ষড়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ । এ দেশে যে কয়টি ঋতু আছে সবাইকে জানান দিয়ে আসে, তার মধ্যে ‘বর্ষা’ অন্যতম । আষাঢ় ও শ্রাবন এই দুই মাস নিয়ে বর্ষাকাল । কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আষাঢ় কবিতায় এ বর্ষালের আসল রূপ ফুটে উঠেছে । 

খেয়া পারাপার বন্ধের কারণ : বর্ষার আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যায় । সারাদিন বাদলের ধারা অবিরাম গতিতে ঝরতে থাকে । চারদিক জলে থৈথৈ করে । তখন গ্রামীণ মানুষ জলবন্দী হয়ে পড়ে । ঘর থেকে বাইরে বের হওয়ার কোনো উপায় থাকে না । বর্ষার জল নদীর জলের সাথে একাকার হয়ে গিয়ে নদী ফুঁসে ওঠে । ফলে নদী তার চিরাচরিত রূপ বদলে ধরা দেয় বিদ্রোহী রূপে । তাই নদী পারাপারের মাধ্যম খেয়া বন্ধ হয়ে যায় । মাঝি জীবন ঝুঁকি নিয়ে পারাপারের সাহস পায় না । আর তাই সন্ধ্যার আগেই খেয়া বন্ধ করে দেয় । 

উপসংহার : মূলত বর্ষার ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগই খেয়া পারাপার বন্ধের কারণ । 

৭. প্রশ্ন : গ্রামবাংলার বর্ষা সম্পর্কে পাঁচটি বাক্য লিখ । 

উত্তর : বর্ষায় গ্রামবাংলা অপরূপ সাজে সেজে ওঠে । টাপুর টুপুর বৃষ্টিতে নেয়ে ওঠে গ্রামবাংলার প্রকৃতি । সারাদিন আকাশে চলে মেঘের লুকোচুরি খেলা । এ সময় ধানের ক্ষেত জলে ভরে যায় । বৃষ্টির কারণে ঘর থেকে বের হবার কোনো উপায় থাকে না ।

আজ এ পর্যন্তই। মনে হয় তোমাদের সাহায্য করতে পেরেছি। কিছু জানার থাকলে কমেন্ট করে যানাবে। আল্লাহ হাফেজ..........................

1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 Live MeccaLive Blogger Tricks