আস্সালামুআল্লাইকুম!!! সবাইকে শুভেচ্ছা। নিশ্চই
আপনারা সবাই ভাল আছেন। আজ নতুন একটা বিষয় আপনাদের জানাবো। যা আপনাদের জীবনে খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। না দেখলে পস্তাইবেন ভবিষতের জন্য। আসুন তাহলে দেখে নেই............
বর্তমানে
প্রচুর পরিমানে থ্যালাসেমিয়া(রক্তের গ্রুপের উপর নির্ভর করে না। রক্ত এর পজেটিভ এবং
নেগেটিভ বাহক হিসাবে কাজ করে), আরএইচ হিমোলাইটিক,হাইড্রপস ফিটালিস ইত্যাদি রোগ ধরা পড়ছে।
যার প্রভাব শিশুদের উপর সবচেয়ে বেশি। আর এ রোগ গুলি আসে পিতা মাতার রক্তের গ্রুপ
ভিত্তিক গরমিল থেকে। স্বামী এবং স্ত্রীর রক্তের গ্রুপের উপর নির্ভর করে শিশুর
সুস্থতা। আর এই গ্রুপের গরমিল হলেই আপনার শিশু ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই বিয়ের
আগেই আপনারা সবাই নিজে এবং যাকে বিয়ে করে নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনারা উপযুক্ত
কিনা ? আরও সুবিধার জন্য আমি নিচে একটা চার্ট দিয়ে দিলাম যা দেখলে আপনারাই বুঝে
যাবেন যে আপনার কোন রক্তের গ্রুপ আর আপনি কোন রক্তের গ্রুপের সঙ্গীকে বিয়ে করবেন। আর ও বিস্তারিত জানার
জন্য একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।আসুন তাহলে দেখে নেয়া যাক..........
ঝুঁকির
সম্ভাবনা:
মায়ের পজেটিভ(+) ও নেগেটিভ (-) রক্তের গ্রুপের সঙ্গে বাবার পজেটিভ (+) ও
নেগেটিভ (-) রক্তের গ্রুপের সম্পর্ক-ঝুঁকি।
|
||
মায়ের রক্তের গ্রুপ
|
বাবার রক্তের গ্রুপ
|
ঝুঁকি
|
এ+, বি+, ও+ বা এবি+
|
এ+, বি+, ও+ বা এবি+,এ-, বি-, ও- বা এবি-
|
ঝুঁকি নেই।
|
এ-, বি-, ও- বা এবি-
|
এ-, বি-, ও- বা এবি-
|
ঝুঁকি নেই।
|
এ-
|
এ+
|
১৬%
|
বি+
|
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
|
|
ও+
|
১৬%
|
|
এবি+
|
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
|
|
বি-
|
এ+
|
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
|
বি+
|
১৬%
|
|
ও+
|
১৬%
|
|
এবি+
|
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
|
|
ও-
|
এ+
|
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
|
বি+
|
বাচ্চার রক্তে গ্রুপের ওপর নির্ভর করে ২-১৬% ঝুঁকি।
|
|
ও+
|
১৬%
|
|
এবি+
|
২%
|
|
এবি-
|
এ+, বি+, ও+ বা এবি+
|
১৬%
|
সাবধানতা
:
১.
বিয়ের আগে সবার (বর/কনে) রক্তের গ্রুপ টেস্ট করে
নেওয়া দরকার যাতে পরবর্তীতের বড় ধরনের সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
২.
আপনি যদি থ্যালাসেমিয়া বাহক হন তাহলে এ বাহক যেন আপনার বউ এর না হয় সেই ভাবে
বিয়ের প্রস্তুতি গ্রহন করুন।( এখানে আপনাকে রক্ত পরিক্ষা করতে হবে যে আপনি বাহক
কিনা বা আপনার যে বউ হবে সে বাহক কিনা। এখানে রক্তের গ্রুপ পরিক্ষা করার প্রয়োজন
নেই)
৩.
পরিকল্পিত পরিবার গড়ার জন্য সবসময় সচেতন থাকুন এবং বিশিষ্ট ডাক্তারের পরামর্শ
গ্রহন করুন।
৪.
রক্ত গ্রহনের সময় বহনকারী রক্ত ভাল করে পরীক্ষা করে নিন।
৫.
একি সিরিঞ্জ বার বার ব্যবহার করবেন না। অন্যের সিরিঞ্জ নিজে ব্যবহার করবেন না।
৬.
আপনার জন্য যেন আপনার সন্তান পরবর্তীতে বিপদে না পড়ে সেই জন্য আগের প্রস্তুতি
গ্রহন করুন।
৭.
আর ও বিস্তারিত জানার জন্য একজন অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
আজ এ পর্যন্তই। আবার আপনাদের
সাথে দেখা হবে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। কোন ভুল হলে ধরিয়ে দিবেন। কিছু জানার থাকলে
কমেন্ট করে জানাবেন। আল্লাহ্ হাফেজ!!!