সবাই কে সালাম জানাই। পরাশোনা ভাল হচ্ছে সবারই। তাই নয় কি? তো যাক আজ আরেকটি নতুন পোষ্ট দিব। যা তোমাদের তয় অধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তর পাওয়া খুব সহজ হবে। তাহলে আর দেরি কেন? দিয়ে দিলাম । ও হ্যা তোমারা কিন্তু সবাই আমাকে কমেন্ট করবে.....
অধ্যায় ৩য় – দুখু আর সুখু
১ম অংশ
১. প্রশ্ন : চাষীর কয় মেয়ে ? তাদের কার কী নাম এবং কার কেমন স্বভাব ?
উত্তর : ভূমিকা : বাংলাদেশের লোককাহিনী থেকে সংগৃহীত ও পুনর্লিখিত এ ‘দুখু ও সুখু’ নামক গল্পটি।
কার কী নাম এবং স্বভাব : গল্পে বর্ণিত চাষির দুই মেয়ে। তাদের নাম হল ‘দুখু আর সুখু’।
দুখু বড় আর সুখু ছোট । নামের সাথে তাদের স্বভাবের বেশ পার্থক্য বিদ্যমান। দুখু হল শান্ত আর কাজে পটু। অপরদিকে সুখু খুবই বদমেজাজি আর আলসে।
২. প্রশ্ন : দুখুর তুলো উড়ে গেল কীভাবে ?
উত্তর : ভূমিকা : ড. মাহবুবুল হকের ‘দুখু আর সুখু’ একটি নীতিতত্ত্বমূলক লোককাহিনী।
যে ভাবে তুলো উড়ে গেল : গল্পে বর্ণিত চাষির মেয়ে দুখু কঠোর পরিশ্রমী ও বিনয়ী স্বভাবের। একদিন সে উঠানে চনকায় সুতো কাটছিল। হঠাত্ প্রচন্ড বাতাস বয়ে যায় এবং দুখুর সব তুলো বাতাসে উড়ে যায়। দুখু চরকায় সুতো কেটে চাষি পিতাকে উপার্জনে সাহায্য করতো। এ ক্ষতিতে উপায়ান্তর না দেখে কোমল অন্তরের দুখু কাঁদে এবং বাতাসের পিছে ছুটে যায়।
৩. প্রশ্ন : তুলোর পিছে ছুটতে ছুটতে কার সাথে দুখুর প্রথম দেখা হল এবং কী ঘটল ?
উত্তর : ভূমিকা : শৈশব থেকেই আমরা নানা-নানির মুখে অনেক লোককাহিনী গল্প শুনে আসছি। এগুলো শুনতে ভারী মজার। লোককাহিনী গুলো আমাদের মনে আনে কল্পরাজ্যের রোমাঞ্চকর অনুভূতি। ড.মাহবুবুল হা রচিত ‘দুখু আর সুখু’ তেমনি একটি লোককাহিনী।
প্রথম যার সাথে দেখা হল : তুলোর পিছে ছুটতে ছুটতে প্রথমে দুখুর গাই- এর সাথে দেখা হল।
যা ঘটল : গাই দুখুকে ডেকে তার গোয়ালটা একটু পরিস্কার করে দিতে বলল। দুখু তখন কুয়ো থেকে পানি এনে ঝাঁটা দিয়ে ধুয়ে গোয়ালটা তকতকে করে সাফ করল। এতে গাভী খুব খুশি হল।
উপসংহার : দুখুর মনে কোন অহংকার ছিল না। সে ছিল নিবেদিত প্রাণ। তার মনটা ছিল সহজ সরল। তাইতো সে কোন প্রশ্ন না করে অনায়াসে গাই-এর গোয়ালটা পরিস্কার করে দিল।
৪. প্রশ্ন : কলা গাছের সঙ্গে দুখুর দেখা হওয়ার পর কী ঘটল ?
উত্তর : ভূমিকা : ড. মাহবুবুল হকে রচিত ‘দুখু আর সুখু’ একটি অনবদ্য লোককাহিনী। গল্পে দুখুর তুলো যখন বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যায় তখন তুলোর পেছনে যেতে যেতে অনেকের সাথে তার দেখা হয় এবং তাদের অনুরোধ রাখে। শেষে কলা গাছের অনুরোধও সে রাখে।
কলা গাছের সাথে দেখা হওয়ার পর যা ঘটল : কলা গাছের সাথে দেখা হওয়ার পর কলাগাছ দুখুকে ডেকে তার গায়ে জড়িয়ে থাকা আগাছা আর লতাপাতা ছাড়িয়ে দিতে বলল। দুখু তার লতাপাতা আর আগাছা ছাড়িয়ে দিল।
উপসংহার : দুখি কর্মট আর পরোপকারী তা ফুটে উঠেছে তার কাজের মধ্য দিয়ে।
৫. প্রশ্ন : ঘোড়ার সঙ্গে দুখুর দেখা হওয়ার পর কী ঘটল ?
উত্তর : ভূমিকা : সুসাহিত্যিক ড. মাহবুবুল হকের ‘দুখু আর সুখু’ গল্পটি বাংলাদেশের লোককাহিনীর অন্তর্গত। লোকমুখে প্রচলিত লোককাহিনী সাধারণত নৈতিক উপদেশমূলক হয়ে থাকে। এ গল্পটি তার ব্যতিক্রম নয়।
দুখু যে কর্মঠ তা ফুটে ওঠে : চাষির মেয়ে দুখু তুলো আনতে ছুটছে বাতাসের পিছু পিছু। এভাবে ছুটতে ছুটতে তার সাথে দেখা হল একটি ঘোড়ার সাথে। দুখুকে দেখে ঘোড়াটি অনুনয় করে বলল, ‘লাগাম আর জিনপোশ আমার পিঠ কেটে বসেছে। ঘাস খাবতো নিচু হতে পারছি না। ওগুলো একটু খুলে দিবি মা ?’ আর তাই শুনে সরলমনা দুখু সব ভুলে ঘোড়াকে বাঁচাতে জিনপোকা খুলে দিল। এতে ঘোড়া খুব খুশি হল এবং এ উপকারের কথা মনে রাখবে বলে অঙ্গিকার করল।
উপসংহার : নীতিশিক্ষামূলক এ লোককাহিনীতে উপকারী হিসেবে দুখু চরিত্রটি উপস্থাপিত হয়েছে।
উত্তর : ভূমিকা : বাংলাদেশের লোককাহিনী অবলম্বনে ড. মাহবুবুল হকের পুনর্লিখিত গল্প ‘দুখু আর সুখু’। এ গল্পে দুখুর সদাচারনণের পুরস্কার লাভ সম্পর্কে চমত্কার এক শিক্ষণীয় বিষয় তুলে ধরা হয়েছে।
ফেরার পথে দুখু কার কাছ থেকে কী উপহার পেল : একদিন জোরে বাতাস প্রবাহিত হলে দুখুর তুলা উড়ে যায়। সে ভীষন ব্যথিত হয়ে পিছু পিছু ছুটল। পথে তার দেখা হয় গাই, কলাগাছ ও ঘোড়ার সাথে। তার দুখুকে বিভিন্ন অনুরোধ করে। দুখুর ভীষন কষ্ট হলেও সে সব কাজই সুষ্ঠভাবে সেরে দেয়। ফলে তারা দুখুর প্রতি খুবই সন্তুষ্ট হয়। বাতাসের পরামর্শে সে বুড়ির ঘরে পৌঁছালে সে তার পরামর্শ মোতাবেক কাজ করে। ফেরার পথে তারে আবার দেখা হয় গাই, কলাগাছ ও ঘোড়ার সাথে। এরা দুখুর প্রতি খুবই কৃতজ্ঞ। ঘোড়া দেয় একটি পক্ষীরাজের ছানা, কলাগাছ দেয় সোণার বরণ এক ছড়া কলাসহ এক খড়া মোহর এবং গাই দেয় কপিলা গাইয়ের বকনা, যার বাঁনে কখনও দুধ শুকায় না।
উপসংহার : আর এভাবে দুখু পরোপকারের প্রতিদান পেল।
৭. প্রশ্ন : প্রাসাদের কাছাকাছি এসে বাতাস দুখুকে কী বলল ?
উত্তর : ভূমিকা : রূপকথা জাতীয় উপদেশমূলক ‘দুখু আর সুখু’ নামের গল্পটি ড. মাহবুবুল হকের একটি শিশুতোষ রচনা। এখানে গল্পচ্ছলে সুন্দর ও সত্ স্বভাবের বিজয় দেখানো হয়েছে।
বাতাস যা বলল : বাতাস দুখুর তুলো উড়িয়ে নিয়ে গেল। দুখু বাতাসের পেছনে ছুটছেতো ছুটছেই। ছুটতে ছুটতে দুখু ক্লান্ত। এমনি সময়ে চলতে চলতে বাতাস এক জায়গায় এসে থামল। থেমে বাতাস দুখুকে দূরে একটি প্রাসাদ দেখিয়ে বলল, ‘ঐটিই হল চাঁদের মা বুড়ির প্রাসাদ। সে আরও বলল, ওর কাছে গিয়ে তুলো চাইবে।যত চাইবে তত তুলো দেবে সে তোমাকে’।
উপসংহার : দুখু মেয়েটি হারানো তুলোর পেছনে ছুটছিল আর বাতাস তাকে পৌছে দেয় চাদের মা বুড়ির কাছে। তার কাছে যত খুশি তত তুলো চেয়ে নিতে পারে দুখু। এতে দুখু পুলকিত হল। তার হৃদয় আনন্দে নাচতে শুরু করল।