সম্প্রতি

ZERO PROJECT এর পক্ষ হতে আইটি স্কুল নিয়ে আসছে ICC World cup Match কুইজ কন্টেস্ট। তৈরি থাকুন সবাই আর জিতে নিন মোবাইল রিচার্জ..........

শুক্রবার, ৮ মার্চ, ২০১৩

৫ম শ্রেনি, বাংলা, ৩য় অধ্যায়- দুখু আর সুখু (২য় অংশ)

সবাই কে সালাম জানাই। পরাশোনা ভাল হচ্ছে সবারই। তাই নয় কি? তো যাক আজ আরেকটি নতুন পোষ্ট দিব। যা তোমাদের ৩য় অধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তর পাওয়া খুব সহজ হবে। তাহলে আর দেরি কেন? দিয়ে দিলাম । ও হ্যা তোমারা কিন্তু সবাই আমাকে কমেন্ট করবে.....

অধ্যায় ৩য় – দুখু আর সুখু 
২য় অংশ 
৮. প্রশ্ন : দুখু বাড়ি ফিরে কী করল ?

উত্তর : ভূমিকা : লোককাহিনী শিশুতোষমূলক হলেও বড়দেরও তা শুনতে ভাল লাগে। ড. মাহবুবুল হক রচিত ‘দুখু আর সুখু’ লোককাহিনী অত্যন্ত মনোহর। গল্পে দুখু চাঁদের বুড়ি কর্তৃক পুরষ্কৃত হয়।

দুখু বাড়ি ফিরে যা করল : দুখু বাড়ি ফিরেই চাঁদের বুড়ির কাছ থেকে পাওয়া গয়নার অর্ধেক সুখুকে দিল।

উপসংহার : দুখুর মনে কোন কুটিলতা ছিল না। বোনের প্রতি তার ছিল অপরিসীম মমতা। তাইতো সে নিজের পুরস্কারের অর্ধেক ছোট বোন সুখুকে দিয়ে দিল।

৯. প্রশ্ন : সুখু গয়না না নিয়ে কী জানতে চাইল ?

উত্তর : ভূমিকা : ড. মাহবুবুল হক রচিত ‘দুখু আর সুখু’ একটি হৃদয়গ্রাহী লোককহিনী। গল্পে দুখু যেমন ছিল নির্লোভ, নিরহঙ্কারী তেমনি তার ছোট বোন সুখু ছিল অলস ও অহঙ্কারী।

সুখু যা জানতে চাইল : সুখু ছিল বড় ডেমাকি। সে দুখুর গয়না দুখুকরে ফিরিয়ে দিল এবং জানতে চাইল সে কীভাবে এত গয়না পেয়েছে।

উপসংহার : আসলে সুখু দুখুর মত উদার মনের ছিল না। দুখুর দেয়া গয়না ফিরিয়ে দিয়ে এবং গয়না পাওয়ার কারণ জানতে চেয়ে সে তার ছোট মনেরই পরিচয় দিয়েছে।

১০. প্রশ্ন : কিছুক্ষণ সুতো কাটার পর সুখু কী ভেবে সুতো কাটা বন্ধ করে দিল ?

উত্তর : ভূমিকা : সুপ্রাচীনকাল থেকে মানুষের মুখে মুখে যেসব গল্প গাথা চলে আসছে সেগুলোকেই লোককাহিনী বলে। ড. মাহবুবুল হক রচিত ‘ দুখু আর সুখু’ এমনই একটি প্রাচীন লোককাহিনী। গল্পে সুখু ছিল অত্যন্ত অলস, অহঙ্কারী ও বদমেজাজি।

সুখু যা ভেবেছিল : কিছুক্ষণ সুতো কাটার পর সুখু যখন দেখল বাতাস জোরে বইসে না তখন সুখু ভাবল খামোখা বসে বসে সুতো কেটে লাভ কী। যখন জোরে বাতাস বইতে শুরু করবে তখন সুতো কাটবে, এই ভেবে সুখু সুতো কাটা বন্ধ করেছিল।

উপসংহার : সুখু ছিল অলস আর লোভী। মসে চেয়েছিল কম পরিশ্রমে অধিক লাভ করতে। কাজ বন্ধ করে সে তার অলসতারই পরিচয় দিয়েছে।

১১. প্রশ্ন : সুখুর মেজাজ কেন তিরিক্ষ হল ?

উত্তর : ভূমিকা : লোককাহিনীগুলো মূলত মানুষের মুখে মখেই প্রচলিত ছিল। বাংলার এক এক অঞ্চলে এক এক ধরনের লোককাহিনী প্রচলিত ছিল। ড. মাহবুবুল হক রচিত ‘দুখু আর সুখু’ তেমনি কোন অঞ্চলের প্রচলিত প্রাচীন লোককাহিনী। গল্পে সুখুর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

সুখুর মেজাজ যে কারণে তিরিক্ষ হল : সুখু ছিল আলসে। সে অল্পতেই হাফিয়ে ওঠে। বাতিসের পিছু পিছু অনেক সময় ধরে দৌড়ে আসার পর যখন দেখল প্রাসাদ অনেক দূরে তখন তার মেজাজ তিরিক্ষ হয়ে উঠল।

উপসংহার : অরস বলেই সুখু অল্পতেই হাফিয়ে ওঠেছে আর পথে সকলের সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। অলসেরা কথনো সাফল্য লাভ করতে পারে না এ কথা চিরন্তন সত্য।

১২. প্রশ্ন : সুখু বুড়ির দরজা কীভাবে খুলল ? সে চেঁচিয়ে বুড়িকে কী বলেছিল ?

উত্তর : ভূমিকা : ড. মাহবুবুল হক তাঁর ‘দুখু আর সুখূ’ লোককাহিনীতে চমত্কারভাবে সুখু চরিত্রের দিকগুলো তুলে ধরেছেন। সুখু ধৈর্যশীল ছিল না, ছীল অলস আর লোভী। বুড়ির প্রতি সে রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।

সুখু যে ভাবে দরজা খুলল এবং বুড়িকে যা বলল : সুখু প্রাসাদের সামনে এসেই লাথি দিয়ে বুড়ির দরজা খুলল। তারপর চেঁচিয়ে উঠে বলল : ‘মড়ামুখী বুড়ি, জলদী আমার গয়নার ব্যবস্থা কর’।

উপসংহার : সুখুর মন দুখুর মত সরল ছিল না। লাথি দিয়ে দরজা খুলে সে তার বদমেজাজের পরিচয় দিয়েছে। আর এ জন্যই সে সব কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

১৩. প্রশ্ন : গল্পটি পড়ে তোমরা কী শিখলে ?

উত্তর : বাংলাদেশের লোককাহিনী থেকে সংগৃহীত ও ড. মাহবুবুল হক কর্তৃক পূনর্লিখিত গল্প ‘দুখু আর সুখু’।

সদাচারণের কারণে মানুষের ভাগ্যের যে পরির্বতন হতে পারে তাই মূলত এ গল্পের শিক্ষা।

এ গল্পের দুটি প্রধান চরিত্র দুখু আর সুখু। তারা কৃষক পরিবারের সন্তান। দারিদ্র্য তাদের নিত্য সঙ্গী। ফলে অতি কষ্টে তাদের দিন কাটে। এ দু’বোনের মধ্যে বড় দুখু আর ছোট সুখু। আচারণের দিক থেকেও তাদের মধ্যে একটি বিরাট ব্যবধান বিদ্যমান। দুখু হল শান্ত আর কাজে পটু। অপরদিকে সুখু বদমেজাজী আর আলসে।

দুখু তার শান্তি প্রিয় মনোভাবের পুরস্কার পেয়েছিল অসংখ্য। সে গাই, কলাগাছ ও ঘোড়ার অনুরোধ রক্ষা করে। বুড়ির সাথে ভাল ব্যবহার করে। তার কথার অবাধ্য হয়নি। ফলে তার অর্জনও ছিল বিশাল। এদের কাছ থেকে প্রাপ্ত নানা উপহার সামগ্রী দুখুর দুঃখ দূর করে তাকে সুখী করে তোলে। অপরদিকে সুখু দুখুর এ বিশাল অর্জনে ঈর্ষান্বিত হয়। তাই দুখুর চেয়ে বেশি পাবার লোভে সে ছুটে চলে। পরে গাই, কলাগাছ ও ঘোড়ার সাথে তার যথারীতি দেখা হয়। কিন্তু সে তাদের করো কোন অনুরোধ রখেনি। এমনকি বুড়ির বাড়িতে পৌঁছে তার আচারণটাও ছিল ভীষণ উগ্র। সর্বোপরি বুড়ির আদেশ অমান্য করে সে পানিতে তৃতীয় ডুব দেয়। এতে তার প্রাপ্তি হল উল্টো।

পরিশেষে বলা যায় যে, মানুষ স্বভাবে সুন্দর হলে, সদাচারণ করলে ভালোবাসা পাওয়া যায়।পরিণামে সুখ আসে। আর তা না হলে নিজেই নিজের ভাগ্য রচনা করে সংসারে জনম দুঃখী হয়ে থাকতে হয়। আলোচ্য গল্পে মূলত এ নীতিকথাই শিক্ষা দেয়া হয়েছে।
1 2 3 4 5 6 7 8 9 10 Live MeccaLive Blogger Tricks