আজ কয়েকদিন হয়ে গেল ২৫ বছরে পা দিলাম। গ্রেজুয়েট পরিক্ষা শেষ হয়েছে। রেজাল্টের অপেক্ষায় আছি। আল্লাহর রহমতে ভালই পরিক্ষা হয়েছে। দোয়া করবেন আমার জন্য।
এই ২৫ বছরের জীবনে মোটামুটি প্রায় সকল শ্রেণীর মানুষের সাথে ঘোরাঘুরি, মেলামেশা, কথার্বতা ইত্যাদি হয়েছে। এর মধ্যে বিচার বিশ্লেষণ করে দেখলাম আমার মত মধ্যবিত্ত শ্রেনীর মানুষগুলোর জীবন রোমাঞ্চকর। এ ভেবেই আনন্দে আত্মহারা।
হটাৎ করেই নিজের অজান্তে আবিষ্কার করলাম জীবনের পথচলা। মাসের ১৯ তারিখে দেখি কার্ডে ভর্তি মোটা মানিব্যাগে আছে আর ১৭৫ টাকা। বুঝতেই পারছেন এখুনো বাকি ১১টা দিন। চলতেই হবে আমাকে বাকি দিন গুলি। আমি জানি কিভাবে আমাকে চলতে হবে!!
আমি পারি প্রখর রোদের মধ্যে ঘামে ভেজা শার্ট পরে হাটতে। কারন ২০টাকা রিক্সা ভারা আমার কাছে কতটা মূল্যবান।
রাস্তার পাশে বসে টং তোলা বাসি বন রুটি আর এককাপ গরম চা কতটা প্রশান্তি আনে। পৃথিবীর সহজলভ্য খাবার এটা।
মোবাইলে ব্যালান্স না থাকলেও কোন সমস্যা নেই। এই জন্য মোবাইল কোম্পানি মালিকদের ধন্যবাদ জানাই। কারন তাদের আদৌলতেই আজ ইমার্জেন্সী বল্যান্স এগিয়ে নিয়ে যায় আরো ৫দিন। কারন মাঝে মাঝেই যে মায়ের সাথে কথা বলতে হয়।
ভোর ৫টা ঘুম থেকে উঠে নামাজ আদায় করে দুটি পরোটাই আমাকে প্রশান্তির জায়গায় নিয়ে যায়। আর দুপরের খাবারটা !!! সেটা নানা কাজের মধ্যে কোথায় হারিয়ে যায় বুঝতেই পারি না।
![]() |
শাহিন, রবিন, সাব্বির, কিরন |
তাই বলে ভাববেন না আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেরা এভাবে নিমজ্জিত।
আমরা যেমন নামিদামি ৫স্টার হোটেল, KFC তে খেতে পারি তেমনি খেতে পারি রাস্তার পাশে টং তোলা দোকানদারের কাছেও। আমাদের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। আল্লাহ্ তায়লা আমাদের সাহায্য করেন অবিরত।
আনন্দ উল্লাসেও আমাদের কোন কমতি নেই। নেই কোন বাধা বিপত্তি। কেউ আমাদের দেখে বলতেই পারবে না আমরা সাময়িক নানা সমস্যাই জরজরিত। সব সময় হাসি খুশি থাকার চেষ্টা করি। করি অবিরত পথ চলার।
আর প্রতি রাতে মায়ের কাছে ফোন করে দোয়া চাই। তোমার ছেলে যেন অনেক বড় হতে পারে। হতে পারে অনেক বড় মনের একজন মানুষ।
আমরা জীবন নামের পার্থিব জিনিসটা খুব কাছ থেকে দেখতে পারি, উপভোগ করতে পারি, ছুয়ে দেখতে পারি, অনুভব করতে পারি অনায়েসে। জীবনকে হারিয়ে নিয়ে যায় অনেকদুরে।
লেখক : গোলাম মোহাম্মাদ সাব্বির
(০৩.০১.২০১৪ ইং)(আংশিক সংগৃহিত)